ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

’রোয়ানু’ চকরিয়ায় : আতংকে নিরাপদে ছুটছে মানুষ

chakaria-pic-21-5-16-1সানজিদা আকতার রুনা, চকরিয়া :

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে শনিবার সকাল থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া- মহেশখালী উপকূলে ধমকা হাওয়ার সাথে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। উপকূলের চিংড়ি ঘেরগুলোতে সাগরের পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বেশ ক’টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত ও বাতাসের তোড়ে গাছ ভেঙ্গে রাস্তায় পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। চকরিয়া – মহেশখালী উপকূলের মানুষ রোয়ানুর আতংকে নিরাপদে প্রাণপণে ছুটছেন নিরাপদ স্থানে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে ব্যাপক মাইকিং চালিয়েছে। এদিকে চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা রাবার ড্যাম এলাকার বেড়িবাধ পরিদর্শনে আসেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফরিদ আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাহেদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী, থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খান সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সুত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকূল অতিক্রম করার আগেই উপকূলের চিংড়ি ঘেরগুলোতে সাগরের পানি ঢুকেছে। ফলে ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। রোয়ানুর প্রভাবে সকাল থেকে ধমকা হাওয়ার কারণে বেশ ক’টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বিকেল ৫ টার দিকে ধমকে হাওয়া কিছুটা কমলে সাধারণ লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
মহেশখালী প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উপকূলীয় ৮ ইউনিয়নের লোকজনদের ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রোয়ানুর প্রভাবে চিংড়ি ঘেরগুলোতে সাগরের পানি ঢুকে ভেসে গেছে লক্ষ লক্ষ টাকার চিংড়ি মাছ। অপরদিকে মাতারবাড়ী ইউনিয়নে আনুমানিক ৪ হাজার ধলঘাট ২ শতাধিক বেশ কিছু ঘর পানিতে ডুবে বিধ্বস্ত হলেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাষ্টার মোঃ উল্লাহ বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলে মাইকিং করে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছে। তার ইউনিয়ন উপকূলে হওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের সার্বক্ষনিক সহযোগিতা কামনা করেন। এবং পানি ঢুকে লবণ, চিংড়ি ভেসে যাওয়ায় সহ বতসবাড়ীর আনুমানিক বিশ কোটির টাকার ক্ষতি সাধিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম প্রিয় চট্টগ্রামকে জানান, উপকূলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষের জানমালসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক নিরাপত্তায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চকরিয়া ও মহেশখালী থানা পুলিশ।

 

পাঠকের মতামত: